ছোটদের বাংলা বাঁকা হাতের লেখা প্রশিক্ষণের খাতা

বিবরণ ও নমুনাঃ
কাগজঃ ৭০ GSM অফ হোয়াইট
ফর্মা সংখ্যাঃ ৭
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৫৬
মুদ্রিত মূল্যঃ ১৪০ টাকা
খুচরা মূল্যঃ  ৭০ টাকা

বিঃদ্রঃ খাতাটি ছোটদের জন্য (প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য) প্রযোজ্য । 

খাতাগুলো অর্ডার করতে ভিডিও লেখাতে ক্লিক করুন।

Original price was: 140.00৳ .Current price is: 70.00৳ .

Description

ছোটদের বাংলা বাঁকা হাতের লেখা প্রশিক্ষণের খাতা
শিশুর দ্রুত এবং সুন্দর লেখার কৌশল শেখানোর সেরা গাইডলাইন

আপনার সন্তানকে দ্রুত লেখা যায় এমন, বাংলা হাতের লেখায় দক্ষ করতে সংগ্রহ করুন
মাওলানা সালেহুদ্দিন সাহেবের রচিত “ছোটদের বাংলা বাঁকা হাতের লেখা প্রশিক্ষণের খাতা”

বইটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণীর শিশুদের জন্য, যাতে তারা দ্রুত লেখা শিখতে পারে এবং পরীক্ষায় আরও বেশি নম্বর অর্জন করতে পারে।

বইটির বৈশিষ্ট্য:

  1. বাঁকা লেখার কৌশল: ধাপে ধাপে বাঁকা হাতের লেখা শেখার পদ্ধতি।
  2. দ্রুত লেখার টেকনিক: সময় বাঁচিয়ে পরীক্ষায় দ্রুত ও পরিষ্কার লেখার দক্ষতা গড়ে তোলে।
  3. পরীক্ষার প্রস্তুতি: সুন্দর হাতের লেখা পরীক্ষায় বেশি নম্বর পেতে সহায়তা করে।
  4. আকর্ষণীয় বিন্যাস: শিশুদের শেখার আগ্রহ বাড়াতে মজার এবং সহজ ধরণে সাজানো।
  5. প্রচুর অনুশীলন সুযোগ: বিভিন্ন ধরণের অনুশীলনের মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।

শিশুর হাতের লেখা আরও সুন্দর ও দ্রুতগতির করে তুলুন বিশেষ এই প্রশিক্ষণের খাতার মাধ্যমে। এটি আপনার সন্তানের শিক্ষাজীবনে মূল্যবান সম্পদ হয়ে উঠবে এবং দৈনন্দিন লেখায় প্রচুর সময় বাঁচাবে ।

বইটি আজই অর্ডার করুন এবং আপনার শিশুকে দিন  বাংলা বাঁকা হাতের লেখায় দক্ষতা অর্জনের সেরা উপহার।

খাতাটি অনুশীলনের পদ্ধতি

এই খাতাটি ১৫টি অধ্যায়ে সাজানো হয়েছে। প্রতিটি অধ্যায়ে চারটি পৃষ্ঠা রয়েছে এবং প্রত্যেক অধ্যায়ের প্রথম পৃষ্ঠায় বর্ণের নিয়ম কানুন, শুরুতে, মাঝে এবং শেষে সহ বিস্তারিত আরলোচনা রয়েছে। আর প্রত্যেক অধ্যায়ের দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় বর্ণের অনুশীলন, তৃতীয় পৃষ্ঠায় শব্দের অনুশীলন এবং চতুর্থ পৃষ্ঠায় বাক্যের অনুশীলন

প্রিয় তালিবে ইলম ভায়েরা,

এই খাতাটি অনুশীলনের জন্য প্রথমে প্রত্যেক অধ্যায়ের প্রথম পৃষ্ঠার অক্ষরগুলোকে নিয়ম কানুন সহ ভিন্ন রাফ খাতায় পর্যাপ্ত অনুশীলন করে আয়ত্ব করার চেষ্টা করবে। বর্ণ সমূহ নিয়ম কানুন সহ আয়ত্ব হওয়ার পর প্রত্যেক অধ্যায়ের দ্বিতীয় পৃষ্ঠাগুলোকে কলম দিয়ে বইতে ভরাট করা শুরু করবে এর পরে যথারীতি প্রত্যেক অধ্যায়ের তৃতীয় পৃষ্ঠাগুলো এবং চতুর্থ পৃষ্ঠাগুলো ভরাট করা সম্পূর্ণ করবে। প্রত্যেক পৃষ্ঠাকে সর্ব নিম্ন এক ঘন্টা সময় দিয়ে ভরাট করবে। ১৫ টি অধ্যায়ের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর ফাঁকা জায়গায় লাইন সোজা করে লেখার পৃষ্ঠাগুলো অনুশীলন করবেন। আল্লাহ তায়ালা সকলকে সম্পূর্ণ করার তাওফিক দান করুন। আমীন

হাতের লেখা সুন্দর করার পদ্ধতি

হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য প্রথমে লেখার সুবিধা মতো আরাম করে বসবেন। কলমকে তিন আঙ্গুল দিয়ে এক ইঞ্চি উপরে ধরবেন। যে বর্ণ কিংবা বাক্য অনুশীলন করবেন, প্রথমে সেটিকে গভীরভাবে লক্ষ্য করবেন। তার শুরু কিভাবে, শেষ কিভাবে, কয়টা ভাঁজ, ভাঁজটি কিরূপ, টানটি সোজা না বাঁকা, না বৃত্ত আকারের ইত্যাদি খুঁটিনাটি বিষয়গুলো কমপক্ষে পাঁচবার গভীর মনো যোগের সাথে দেখবেন। যাতে বর্ণ কিংবা বাক্য আত্মস্থ হয়ে যায়। যে কোনো শব্দ পাঁচবার দেখে একবার লিখবেন, একবার দেখে পাঁচবার লিখবেন না। লেখার সময় খুব ধৈর্যের সাথে ধীরে ধীরে লিখবেন। কোন ধরনের তাড়াহুড়া করবেন না ।

একবার লেখার পর মূল লেখা আর আপনার লেখাকে মিলিয়ে দেখবেন। বর্ণের কোন কোন ভাঁজ হয়েছে, আর কোন কোন ভাঁজ হয়নি, কোথায় ব্যতিক্রম, যা হয়নি তা কেন হয়নি। যেখানেই ব্যতিক্রম পাবেন, তা মূল বর্ণ কিংবা বাক্যের অনুকরণে লাল কলম দিয়ে ঠিক করবেন। যখনই লিখবেন তখনই হাতের নাগালে লাল কলম রাখবেন। লাল কলম দিয়ে ঠিক করার পর পুনরায় অদম্য আগ্রহ নিয়ে আবার নতুনভাবে লিখবেন।

কোনো শব্দ কিংবা বাক্য আয়ত্তে না আসলে হতাশ হবেন না। অক্লান্ত লিখতেই থাকবেন, লেখতে লেখতে যখন মূলটির মতো হুবহু হয়েছে বলে মনে করবেন, তখন অন্য ধাপে অগ্রসর হবেন। অর্থাৎ এই পর্যন্ত আপনি ধীরে ধীরে লেখা সুন্দর করতে সক্ষম হয়েছেন। এখন চেষ্টা করবেন কিভাবে দ্রুত ও অনায়াসে মূলটির মতো লেখা যায়। প্রতিটি শব্দ কিংবা বাক্যকে এমন ভাবে আয়ত্ত করবেন, যাতে কোনো চিন্তা ছাড়া নিঃসঙ্কোচে লিখতে পারেন। মুলত অনায়াসে দ্রুত গতিতে সুন্দর করে লিখতে পারাই হল লেখার কৃতিত্ব। প্রিয় তালিবে ইলম । লেখা সুন্দর হওয়া আল্লাহ তায়ালার অনেক বড় এক নেয়ামত। এই নেয়ামত অর্জনের জন্য হাতের লেখা অনুশীলনের পাশাপাশি দোয়ারও এহতেমাম করবেন।

কেন এই খাতাগুলো কিনবেন ?

কেন এত জরুরি ??? কারণ : একজন উস্তাদ কয়েকশো ছাত্রকে দৈনিক হাতের লেখা দেওয়া অসম্ভব। ক্লাসেও অতটা সময় পাওয়া যায় না। একটা সুন্দর হাতের লেখা দেখে দৈনিক অনুশীলন করলে তার হাতের লেখা পরিবর্তন হবেই ইনশাআল্লাহ ৷

আর এই খাতা গুলোতে পেন্সিল / কলম দিয়ে অক্ষরের উপর ছাত্র-ছাত্রীদের হাত ঘোরানো, জলছাপ বসানো, আকার “’ কার, ব-ফলা, ম-ফলা, দুই বর্ণ, যুক্ত বর্ণ, শব্দ ও বাক্যের পর্যাপ্ত অনুশীলন দেওয়া রয়েছে। ফলে টানা

৪৫ দিন খাতায় লিখলে যে কোন বাচ্চার হাতের লেখা পরিবর্তন হবে ইনশাল্লাহ ।

Customer Reviews

0 reviews
0
0
0
0
0

There are no reviews yet.

Be the first to review “ছোটদের বাংলা বাঁকা হাতের লেখা প্রশিক্ষণের খাতা”

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আজকের দিনেও, যখন ডিজিটাল যুগে আমরা অনেক কিছুই টাইপ করে করি, হাতের লেখা শেখা এবং সুন্দর করা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এর অনেক সুবিধা রয়েছে।

শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে:

  • স্পষ্টতা ও পঠনযোগ্যতা: সুন্দর হাতের লেখা শিক্ষার্থীদের নোট, পরীক্ষার খাতা, প্রকল্প, রিপোর্ট ইত্যাদিতে স্পষ্ট ও পঠনযোগ্য করে তোলে। এতে শিক্ষকদের নম্বর দেওয়া সহজ হয় এবং শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল অর্জনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। কর্মক্ষেত্রেও, সুন্দর হাতের লেখা রিপোর্ট, মেমো, চিঠিপত্র ইত্যাদি তৈরি করতে সাহায্য করে যা পেশাদারিত্বের পরিচয় দেয় এবং সহকর্মী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে ইতিবাচক ধারণা তৈরি করে।
  • মনোযোগ ও ধৈর্য বৃদ্ধি: সুন্দর লেখার জন্য মনোযোগ, ধৈর্য এবং স্থিরতা প্রয়োজন। নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে এই গুণাবলী বৃদ্ধি পায় যা শিক্ষা ও কর্মজীবনের সকল ক্ষেত্রেই সহায়ক।
  • সৃজনশীলতা বৃদ্ধি: সুন্দর হাতের লেখা লেখার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের চিন্তাভাবনা স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে পারে এবং নতুন নতুন ধারণা তৈরি করতে পারে। এটি তাদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

ব্যক্তিগত জীবনে:

  • নিজের লেখা নথিপত্র সহজে পড়া যায়: সুন্দর হাতের লেখায় লেখা ব্যক্তিগত নথিপত্র, ডায়েরি, চিঠিপত্র ইত্যাদি পরবর্তীতে সহজেই পড়া যায়।
  • অন্যদের সাথে ভালো যোগাযোগ: সুন্দর হাতের লেখায় লেখা বার্তা, কার্ড, শুভেচ্ছা বার্তা ইত্যাদি দেখে অন্যরা আকৃষ্ট হয় এবং তাদের সাথে ভালো যোগাযোগ স্থাপন করা সহজ হয়।
  • মানসিক প্রশান্তি: নিয়মিত সুন্দর হাতের লেখার অনুশীলন মানসিক প্রশান্তি এনে দেয় এবং streß কমাতে সাহায্য করে।

উপসংহার:

হাতের লেখা শেখা এবং সুন্দর করা শুধুমাত্র শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রের জন্যই জরুরি নয়, বরং ব্যক্তিত্বের বিকাশ, মানসিক প্রশান্তি এবং ব্যক্তিগত জীবনে সুবিধা লাভের জন্যও এটি গুরুত্বপূর্ণ।